টলিউডের নামী নায়কের ছবিতে টাকা ঢেলেছেন শাহিদ ইমাম, জেরায় জানল সিবিআই
আরামবাগের দাপুটে তৃণমূল নেতা তিনি। চাকরি বিক্রি করার অভিযোগে শুক্রবারই সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযুক্তের নাম শাহিদ ইমাম (Shahid Imam)। পেশায় একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক হলেও তাঁর বিচরণের ক্ষেত্র মোটেই অল্প নয়। বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী জেরায় সিবিআই কর্তাদের নিজে মুখেই জানিয়েছেন যে, বলিউড এবং টলিউডে (Tollywood) ছবি প্রযোজনাতেও টাকা লাগিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি টলিউডে তিনটি ছবি প্রযোজনায় তিনি টাকা ঢেলেছেন। এরপরই সিবিআই কর্তারা তদন্তে নামে। চাকরি চুরির টাকা দিয়েই সিনেমা তৈরি হয়েছে কিনা তা জানতে শনিবার থেকে একাধিক জায়গা চষে ফেলেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মূল অভিযুক্তকেও।
এরমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য উঠে আসে। অভিযোগ, টলিউডেরই এক বিখ্যাত নায়কের দু’টি ছবি ইতিমধ্যেই প্রযোজনা করেছেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি হল, সেই অভিনেতা আবার বর্তমানে শাসকদলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। দু’জনের যোগসূত্র যে রাজনীতিই, তা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় তদন্তকারী অফিসারদের। তৃতীয় ছবিটি কার, তা অবশ্য জানা যায়নি।
কিন্তু যে দু’টি ছবির কথা জানা গেছে, সেগুলিতে প্রযোজকের ভূমিকায় ওই অভিনেতারই নাম ছিল। নায়কের পাশাপাশি প্রযোজক হিসাবেও নতুন যাত্রা শুরু করেছিলেন, এমনটাই জানত গোটা টলিউড। কিন্তু সেখানে শাহিদ ইমামের টাকা ঢালার কথা সিবিআই জানার পরেই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়।
এখন প্রশ্ন উঠছে, কে এই অভিনেতা-প্রযোজক? সে বিষয়ে যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন সিবিআই কর্তারা। যেহেতু এখনও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ, তাই এইমুহূর্তেই অভিনেতার নাম প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না কেউই। কারণ, হতে পারে শাহিদ এই বিষয়টি নিজের দিক থেকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে। অথবা, চাকরি চুরির টাকা সিনেমা তৈরিতে ব্যবহারই করা হয়নি। ফলত, এই অভিযোগ মিথ্যা হলে অভিনেতার সুনাম ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। এসব সাতপাঁচ ভেবে এখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছে না সিবিআই।
খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২৩/একে


