ভারতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও ‘বাংলাদেশি’ অপবাদে আটক করা হয় মুম্বইয়ের এক ১৮ বছর বয়সী কিশোরীকে। তার মা ভারতীয় এবং তিন ভাইবোনসহ তারা মুম্বইতেই দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিল। অথচ তার পিতাকে বাংলাদেশি দাবি করে ভারত সরকার বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে, এমনকি কিশোরীকেও পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। অবশেষে বোম্বে হাইকোর্ট মঙ্গলবার ওই কিশোরীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বই হাইকোর্টের বিচারপতি নীলা গোখলে ও ফিরদোস পি পুনিওয়ালার অবকাশকালীন বেঞ্চ রায় দেন, কিশোরীর পিতার নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্ত চলছে মানে এই নয় যে তাকে আটকে রাখা হবে। ১৮ বছর বয়সী কিশোরী ও তার ১৬ ও ৮ বছর বয়সী দুই ভাইবোনের পক্ষে আদালতে হ্যাবিয়াস করপাস আবেদন করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, তাদের জন্ম ভারতের মাটিতে এবং তাদের কাছে রয়েছে জন্মসনদসহ নাগরিকতার প্রমাণপত্র। তাদের পিতা দাদামিয়া খান গত ৩৭ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন, বিয়ে করেছেন ভারতীয় নাগরিক মরিয়ম খানকে এবং পেশায় ক্যাবচালক। তিনি রেশন কার্ড, প্যান কার্ড ও ভোটার আইডি-সহ ভারতের বৈধ পরিচয়পত্র বহন করেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনীষা জাগতাপ আদালতে বলেন, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দাদামিয়া নিজেই নিজেকে বাংলাদেশি বলে স্বীকার করেন। তাকে ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর আওতায় ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলমান।

তবে আদালত জানায়, ওই কিশোরীকে আটক রাখার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা ডাকলে সে যেন সহযোগিতা করে।

এই ঘটনায় ভারতের নাগরিকত্ব প্রশ্নে প্রশাসনিক ‘দ্বৈত মান’ নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।


 

news