বাংলাদেশে ভুয়া তথ্য ও গুজব প্রতিরোধে কাজ করা ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই তারা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তথ্য ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশবিরোধী উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।

রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, হিন্দু শিক্ষকের ওপর নিপীড়নের মিথ্যা অভিযোগ তুলে একটি ভুয়া ভিডিও ভাইরাল করা হয়, যা আসলে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঘটেছিল। প্রকৃত ঘটনা অনুসারে, গত ১৫ জুন রাজবাড়ীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে আহম্মদ আলী নামের এক মুসলিম ব্যক্তিকে জুতার মালা পরানো হয়েছিল। এই ভিডিওটিই ভুলভাবে উপস্থাপন করে দাবি করা হয় যে, এক হিন্দু শিক্ষককে অপমান করা হয়েছে। ভারতীয় বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট এ তথ্য ছড়িয়ে দেয়।

রিউমার স্ক্যানার আরও জানায়, ২০২৩ সাল থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে উস্কানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়ানোর হার ক্রমেই বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো বাংলাদেশে বিভ্রান্তি, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দেশ-বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের অপতথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে। ফলে জনগণকে আরও সতর্ক হতে হবে এবং যাচাই না করে কোনো তথ্য শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার।

তাদের মতে, এসব প্রচারণা শুধু গুজব নয়, বরং একধরনের তথ্য-সন্ত্রাস, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

news