দুর্গাপূজার আগে পদ্মার ইলিশ রপ্তানির অনুমতির আবেদন জানিয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তারা এই অনুরোধ জানিয়েছে।

ভারতের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ এই চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে। চিঠিতে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ইলিশের চাহিদা ও রপ্তানির সময়সীমা তুলে ধরা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশ সরকার ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি সম্ভব হয়েছিল। সময়সীমা কম থাকায় পুরো পরিমাণ মাছ আনা যায়নি।

এছাড়া তারা জানায়, প্রতিবছরই অনুমোদিত পরিমাণ ইলিশ আমদানির জন্য ৩০ থেকে ৪৫ দিনের সময়সীমা যথেষ্ট নয়। ফলে এবার যেন কোনো সময়সীমা ছাড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়, এই অনুরোধও জানানো হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই মাছ দুর্গাপূজার সময় বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে।

চলতি বছর দুর্গাপূজা অক্টোবরের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরেই শুরু হচ্ছে। তাই এবারের ইলিশ সরবরাহ যেন দ্রুত শুরু হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এ বিষয়ে হাওড়ার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বলেন, সময়সীমা বাড়ালে অথবা তুলে দিলে আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইলিশ আনতে পারব। এতে পূজার সময় চাহিদা মেটানো সহজ হবে।

বাংলাদেশ সরকার যদি এবার ইলিশ সরবরাহ না করে, তবে ভারতকে গুজরাট, দিঘা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার ও মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

news