যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর রুষ্ট। রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প বাণিজ্য শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু তেল নয়, ভারতের দ্রুত উন্নয়ন ও স্বতন্ত্র কৌশলগত অবস্থানই যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্বেগ। ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দীর্ঘস্থায়ী হবে না, এ বিষয়ে আশাবাদী বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে রুষ্টির খবর সামনে এসেছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার কারণে ভারতের ওপর ট্রাম্প দ্বিগুণ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি সমর্থন দেখিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎকালে তর্কিত বিষয়গুলোও সামনে আসে। ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেন শান্তি চাইছে না এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ জেতা কঠিন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি, প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও যৌক্তিক কৌশলগত অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সীমিত সময়ের জন্যই কার্যকর হবে। অ্যান্ড্রু সুশেন্তসভের মতে, ভারত স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

মার্কিন চাপের মাঝেও ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। অজিত ডোভাল রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চলতি বছরের শেষে ভ্লাদিমির পুতিন ভারতে সফর করবেন বলে জানানো হয়েছে। ডোভাল এছাড়া এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়সহ বিভিন্ন সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য শুধু রাশিয়ার তেল বন্ধ করা নয়, বরং ভারতের স্বাধীন কৌশলগত অবস্থান সীমিত করা। ভারত-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ডলারের বাইরে স্থানীয় মুদ্রায় পরিচালিত হচ্ছে এবং এতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমছে।

সরকারি ও রুশ মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক গভীর হচ্ছে। ভারত রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও সার আমদানি করছে এবং এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের চাপ এভাবে দীর্ঘস্থায়ী হবে না। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

 

news