টাইটানিকের পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি ভিডিও প্রকাশ, যা আগে দেখেনি কেউ

ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ দুর্ঘটনার কথা বললে, প্রথমেই আসবে সেসময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিকের নাম। দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার একশ বছরেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর এই প্রথম জাহাজটির পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত ছবিগুলোতে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান যা 'গভীর সমুদ্র ম্যাপিং' পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে পুরো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা- এই তিন মাত্রার দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে যা আগে কখনো দেখা যায়নি। বর্তমানে জাহাজটি আটলান্টিক মহাসাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে আছে।

সমুদ্রের তলায় টাইটানিকের থ্রি ডি ছবিসমুদ্রের তলায় টাইটানিকের থ্রি ডি ছবি

জাহাজটির বিভিন্ন পাশ থেকে সাত লক্ষাধিকেরও বেশি ছবি তোলা হয়েছে। এর পর সেগুলো সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি ভিডিও। ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে যেন সমুদ্রের তলদেশে পরিত্যক্ত বিশাল আকারের এই জাহাজটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।

ভিডিও ধারণ করার কাজটি করেছে গভীর সমুদ্রের তলদেশ মাপা প্রতিষ্ঠান ম্যাগেলান লিমিটেড এবং আটলান্টিক প্রোডাকশনস। ২০২২ সালে কাজটি করা হয়।

অবশ্য এ ভিডিও ধারণে সমুদ্রের নিচে যাননি বিশেষজ্ঞরা। তারা সমুদ্রের ওপর থেকেই সাবমার্সিবল ব্যবহার করে ও ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করে জাহাজটি মাপামাপি এবং ছবি তুলেছেন।

আশা করা হচ্ছে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিতে আসলেই কী ঘটেছিল এসব দৃশ্য থেকে সে সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাবে।

জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

১৯১২ সালে টাইটানিক যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যাচ্ছিল।

এনবিএস/ওডে/সি

news