ভারতে ‘ধর্মীয় বৈষম্য’ থাকার কথা অস্বীকার করলেন মোদি

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার দেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। ভারতে সংখ্যালঘুরা নিগৃহীত হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা সত্ত্বেও মোদি এরকম কথা বলেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে মোদিকে জিজ্ঞেস করা হয়, তার দেশের মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের উন্নয়ন ও বাক-স্বাধীনতা রক্ষা করতে তিনি কী পদক্ষেপ নিতে চান। উত্তরে মোদি বলেন, এসব উন্নয়নের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের সংবিধান ও আমাদের সরকার এবং আমরা প্রমাণ করেছি গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারে। যখন আমি বলি রক্ষা করতে পারে, তখন জাত, বিশ্বাস, ধর্ম ও লিঙ্গ কোথাও কোনো বৈষম্যের স্থান নেই (আমার সরকারে)।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে করা তাদের প্রতিবেদনে ভারতে মুসলিম, হিন্দু দলিত, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপরও দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছিল। মোদির এ বক্তব্যের পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের কাছে বহু প্রতিবাদকারী জড়ো হয়।

ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’ এর প্রতিষ্ঠাতা রাকিব হামিদ নায়িক বলেন, মোদির মন্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ভারত একটি কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হয়েছে। মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, মোদির আক্রমণাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদ ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনো জায়গা রাখেনি। 

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ভারতের ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইনকে মুসলিম অভিবাসীদের বাদ দেওয়ার জন্য প্রণীত ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ আইন বলে বর্ণনা করেছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news