কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া

গত বুধবার দু’টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার তিন দিন পর শনিবার (২২ জুলাই) সর্বশেষ এসব ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা চালালো। 

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা জানায়, উত্তর কোরিয়া চীন ও কোরীয় উপদ্বীপের মধ্যবর্তী ইয়োলো বা হরিদ্রা সাগরে ‘কয়েকটি গ্রুপ ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছে।

স্থানীয় সময় ভোর চারটায় এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছার কয়েক ঘন্টা পরই গত বুধবার সাগরে দু’টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। 

গত বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া আরও হুঁশিয়ার করে দেয় যে, দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, বোমারু বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েন করা হবে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের যথার্থ মানদন্ড।

একজন মার্কিন সেনা বেসামরিক অঞ্চল থেকে স্বপক্ষ ত্যাগ করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ ও সেখানে আটক হওয়ার পর এ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা ঘটল। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রাইভেট সেকেন্ড ক্লাস সেনা ট্রাভিস কিং এর ব্যাপারে তারা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। তার ব্যাপারে জানানোর অনুরোধে পিয়ংইয়ং এখনো কোন সাড়া দেয়নি।

নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে উত্তর কোরিয়া: সিউলের হুঁশিয়ারি

 দুই কোরিয়ার সম্পর্ক এখন সর্বনিম্নে নেমে গেছে। তাদের মধ্যে কুটনৈতিক যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন কৌশলগত পরমানু অস্ত্র বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ার করে দেন যে, পারমানবিক অস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়া আগমনে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করার বৈধতা মানদন্ড অর্জিত হয়েছে। ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম পরমানু অস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করল। এর জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, পরমানু অস্ত্র ব্যবহারের অর্থ হবে কিম জং-উন সরকারের অবসান।

এদিকে গ্রুপ-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্য তিনটি দেশ জাতিসংঘ অবরোধ এড়াতে পিয়ংইয়ং যাতে চীনের পানি সীমা ব্যবহার করতে না পারে সে জন্যে চীনের সহায়তার আবেদন করেছে। এসব দেশ ও জোট এক চিঠিতে এ আবেদন জানায়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স চিঠিটা দেখতে পেয়েছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news