ভারত-শ্রীলংকা স্থলসংযোগ সেতু নির্মাণের চিন্তা

শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের প্রথম ভারত সফরকালে দুই দেশ তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। তারা দুই দেশের মধ্যে তেল পাইপলাইন ও স্থল সেতু নির্মাণ সম্ভাবনার বিষয়ও খতিয়ে দেখবে কলম্বো-দিল্লি। 

শ্রীলংকায় চীনের প্রভাব বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভারত সফর করেন। শুক্রবার এক কৌশলগত দলিলে বলা হয়, দুই প্রতিবেশ দুই দেশের মধ্যকার ‘স্থল সংযোগ ’ স্থাপন করবে। পাক প্রণালী দুই দেশকে বিভক্ত করে রেখেছে। এর প্রশস্ততা মাত্র ২৫ কিলোমিটার। এ সংযোগ স্থাপিত হলে ত্রিঙ্কোমালি ও কলম্বোর মতো শ্রীলংকার গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে ভারতের প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা দুদেশের ‘হাজার বছরের’ সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।

শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, স্থল সেতু ও পাইপলাইন নির্মাণের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

শ্রীলংকায় নজীরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাচ্যুতির পর রনিল বিক্রমসিংহে প্রেসিডেন্ট হন। এর এক বছর পর তিনি দুদিনের ভারতে সফরে যান। 

খাদ্য. জ্বালানি ওষুধ সংকটের কারণে শ্রীলংকায় দৈনিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলে। ৪৬০০ কোটি ডলারের ঋণ খেলাফি হওয়া সত্ত্বেও ভারত শ্রীলংকাকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করে। 

 ভারতে পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কাওয়াত্রা বলেছেন, শ্রীলংকায় ‘চীনের উপস্থিতির’ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা কলম্বোকে জানিয়েছে দিল্লি। ভারত শ্রীলংকাকে তার পশ্চাৎভূমি মনে করে। ভারত শ্রীলংকা ও এ অঞ্চলে চীনের কর্মকান্ডের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news