ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি সুখী বাংলাদেশ 

হ্যাঙ্কের বার্ষিক দুর্দশা সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড ইকোনোমিক্সের অধ্যাপক স্টিভ হ্যাঙ্ক প্রতি বছর বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক ঋণের হার এবং মাথাপিছু প্রকৃত জিডিপিকে বিবেচনায় নিয়ে এই বার্ষিক দুর্দশা সূচক (অ্যানুয়াল মিজেরি ইনডেক্স-এইচএএমআই) তৈরি করেন। ২০২২ সালের র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য মোট ১৫৭টি দেশকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গত ২৪ মে প্রকাশিত দুর্দশা সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দেশ হিসেবে তালিকার ১ নাম্বারে উঠে এসেছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। আর এই তালিকার সবচেয়ে নিচে, ১৫৭তম অবস্থানে সুইজারল্যান্ড, যার মানে দাঁড়ায় দেশটির নাগরিকরা সবচেয়ে সুখী। 

দুর্দশাগ্রস্ত শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় জিম্বাবুয়ের পর রয়েছে ভেনিজুয়েলা, সিরিয়া, লেবানন, সুদান, আর্জেন্টিনা, ইয়েমেন, ইউক্রেইন, কিউবা ও তুরস্ক। 

বিপরীতক্রমে সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় সুইজারল্যান্ডের পর রয়েছে কুয়েত, আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, নাইজার, থাইল্যান্ড, টোগো ও মাল্টা।

দুর্দশা র‌্যাংকিংয়ে ভারতের অবস্থান ১০৩তম। ভারতের চেয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ, অবস্থান ১১৫তম। পাকিস্তান রয়েছে ভারতেরও অনেক পেছনে, অবস্থান ৩৫তম। 

এই র‌্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপারে এক টুইটে স্টিভ হ্যাঙ্ক বলেন, আশ্চর্যজনক মূল্যস্ফীতি, উচ্চ বেকারত্ব, উচ্চ ঋণের হার এবং মারাত্মক ধীরগতির জিডিপি প্রবৃদ্ধির কল্যাণে জিম্বাবুয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দেশ হিসেবে অবস্থান পাকা করেছে। আমার কি আর কিছু বলার দরকার?

ফিনল্যান্ড টানা ছয়বার এই তালিকায় সবচেয়ে সুখী দেশ ছিল। কিন্তু এবার তাদের অবস্থান ১০৯তম।

তালিকায় সুইজারল্যান্ড সবচেয়ে কম দুর্দশার অর্থাৎ সবচেয়ে সুখী দেশ হলেও স্টিভ হ্যাঙ্কের হিসেবে, এই দেশটিও সংকটমুক্ত নয়। দেশটির প্রধান সমস্যা হিসেবে বেকারত্বকে চিহ্নিত করেছেন তিনি। 

পাকিস্তানের প্রধান সমস্যা হিসেবে এসেছে মূল্যস্ফীতি এবং ভারত ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বেকারত্ব। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news