ঐতিহাসিক আগদাম মসজিদ যেখানে শূকরের খামার করেছিলো আর্মেনিয়রা

স্থপতি কারবালাই সাফিখান কারাবাখী ১৮৬৮ থেকে ১৮৭০ সালের মধ্যে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি কারাবাখ অঞ্চলে নির্মিত। পাথরের কলাম দিয়ে দ্বিতল বিশিষ্ট চিত্রশালা এবং গম্বুজযুক্ত ছাদের এই মসজিদটি এখনো সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে । 

১৯৯২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কারাবাখ-আর্মেনিয়ান বাহিনীর দ্বারা খোজালির আক্রমণের পরে ২০০ জনের মরদেহ এই মসজিদে সমাহিত করা হয়। তবে মসজিদের পরিচালক  সেয়িদ সাদিকভের মতে মসজিদে ৪৭৭ জনের মরদেহ সমাহিত করা হয়।

এই মসজিদটি আগদম অঞ্চলে টিকে থাকা কয়েকটি ঐতিহাসিক আবাসিক ভবনগুলির মধ্যে একটি। আজারবাইজানীয় সূত্র অনুসারে, মসজিদের ছাদ এবং চিলেকোঠা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিলো, আর জানালা, দরজা, অভ্যন্তরীণ ভবন এমনকি পাথরের তলটিও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিলো।

২০১০ সালের জুনে আলোকচিত্রগ্রাহক আন্দ্রেই গালাফিয়েভ জানান "আগদাম মসজিদটির ধ্বংসাবশেষে গবাদি পশুর খাদ্য ও গোবর দিয়ে মসজিদটির মেঝে পুরোপুরি নোংরা করা হয়। তার ছবিতে মসজিদের মধ্যে গবাদি পশু দেখানো হয়। তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজারবাইজানের সংবাদপত্র এবং তুরস্কের একটি সংস্থা সমালোচনা ও অভিযোগ কাের যে, মসজিদটি গরু এবং শূকরের আবাস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ফলে, অস্বীকৃত নাগোর্নো কারাবাখ সরকারের টনক নড়ে। তারা ২০১০ সালের নভেম্বরে  ঘোষণা করে, যে মসজিদটি এবং এর আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আগদাম মসজিদের পাশাপাশি শুশার মসজিদগুলোও সংস্কার করা হয়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news