স্ত্রীর সামনেই স্বামীকে টেনে নিয়ে গেল বাঘ, খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি

পেটের তাগিদে জঙ্গলে যাওয়াই কাল। সুন্দরবনের গভীরে খালে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে এক মৎস্যজীবী। স্ত্রীর চোখের সামনেই গভীর জঙ্গলে ওই মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল দক্ষিণরায়। এখনও পর্যন্ত ওই মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ভগবতী ফকিরকে সঙ্গে নিয়ে অনেশ্বর প্রায়ই সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যেতেন। পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে গত ৯ জুলাই অন্যান্য মৎস্যজীবীর সঙ্গে কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে নারায়ণপুরের বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন অনেশ্বর। স্ত্রীকেও তিনি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রায়ই বাড়িতে ফোন করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজখবর নিতেন অনেশ্বর। রোববার সুন্দরবনের কুস্তরি খালে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কাঁকড়া ধরেছিলেন তিনি। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। তবে দক্ষিণ রায় যে ওত পেতে বসেছিল তা লক্ষ্য করেননি মৎস্যজীবীরা। 

ভগবতীদেবী জানান, খালে কাঁকড়া ধরার সময় তার চোখের সামনে থেকে স্বামীকে টেনে নিয়ে যায় বাঘ। তারপরই সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ঢুকে যায়। এই খবর পৌঁছানো মাত্রই ফকিরের পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। বনদপ্তর ও কাকদ্বীপ থানায় রাতেই খবর জানানো হয়। বাঘের আক্রমণের শিকার ওই নিখোঁজ মৎস্যজীবী এখন কোথায় আছেন আর কেমনই বা আছেন, তা ভেবেই চিন্তিত পরিবারের লোকজন। তাকে উদ্ধারে ইতিমধ্যেই পুলিশ ও বনকর্মীরা জঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মৎস্যজীবীর খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news