তাপ বন্টনে গুরুত্বপূর্ণ মহাসমুদ্রের স্রোত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে : গবেষণা
মহাসাগরের স্রোত ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা মহাসাগরে তাপ উত্তর অভিমুখে প্রবাহিত হতে থাকে। চলতি শতাব্দির মাঝামাঝিতে এসে এ ব্যবস্থা হয়ত ভেঙ্গে পড়তে পারে। একটি নতুন গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমনটি ঘটলে বিপর্যয়কর মাত্রায় সমুদ্রের পানির স্তর বৃদ্ধি পাবে এবং সারা বিশ্বে চরমভাবাপন্ন আবহওয়ার সৃষ্টি হবে।

সাম্প্রতিক দশক গুলোতে আটলান্টিক মহাসাগরের স্রোত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টিকে কখনো গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন অনেকে আবার কখনো তাকে খাটো করে দেখেছেন অন্যরা। দুই বছর আগে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্ত:সরকার কমিটি জানায়, চলতি শতকে এ ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কা খুবই কম। তবে নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মূলধারার বিজ্ঞানীরা এর শঙ্কা কম বলেলেও এখন মনে হচ্ছে, এমন বিপর্যয় ঘটার বিষয়টি খুব বেশি দূরে নেই।

ন্যাশনাল ওশেনিক এন্ড এটমোস্ফেরিক এডমিনিস্ট্রেশনের মতে, আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝামাঝি স্রোতধারারা পরিবর্তন হলো মহাসাগরের স্রোতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা এর মাধ্যমে সমগ্র আটলান্টিক মহাসাগরে পানি সঞ্চালিত হয়। এটি একটি সুদীর্ঘ পদ্ধতি যা সম্পন্ন হতে প্রায় ১০০০ বছর লাগে। কিন্তু এ গতি ১৯০০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শ্লথ হয়ে আসে।

জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রবাহ আরও ধীর বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর গোলার্ধে আরও চরমভাবাপন্ন আবহওয়া দেখা দিতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকুলে সাগরের পানিস্তর বৃদ্ধি এবং আফ্রিকার কোটি কোটি মানুষ মারাত্মক খরার মুখে পড়তে পারে। কিন্তু এটি কখন ঘটতে পারে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

ডেনমার্কের দুই জন বিজ্ঞানী পেটার ও সুসান দিতলেভসেন পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরনের কারণে এ স্রোত ব্যবস্থা খুব শিগিগিরই হলে ২০২৫ সালের মধ্যে এবং বিলম্বে হলে ২০৯৫ মধ্যে ভেঙ্গে পড়তে পারে। তারা ১৮৭০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্তু উত্তর আটলান্টিকের উপরিভাগের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তাদের অভিমত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্ত:সরকার কমিটির ২০২১ সালের অভিমতের পরিপন্থী। তারা বলেছিল, চলতি শতাব্দিতে এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

 

news