২০২২ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৬২০ জন

প্রাচীন কাল থেকেই কখনও বাণিজ্য, কখনও রাজনৈতিক কারণে ভারত ছেড়ে অন্য দেশে গিয়েছেন মানুষ। ভারত ছেড়ে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ছিল ব্রিটিশ শাসনাধীন সময়ে। ১৮৩৪ সাল থেকে ব্রিটিশ ভারতের বাসিন্দাদের জোর করে শ্রমিক হিসাবে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া শুরু হয়।

 মরিশাস, ফিজি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিভিন্ন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যেতেন ভারতীয়েরা। এর পর ক্রমে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক নানা কারণে ভারত থেকে উদ্বাস্তু হিসাবে অনেকে বাইরে চলে গিয়েছেন। তবে সে সব দেশত্যাগের ক্ষেত্রেই কোনও না কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল।

বর্তমানে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এখন আর বাধ্য হয়ে নয়, ইচ্ছে করেই দেশ ছাড়ছেন ভারতীয়েরা। গত কয়েক বছরে ভারত ছেড়ে অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পরিমাণ চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।

পার্লামেন্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোট ৮৭ হাজার মানুষ ভারতের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছেন, শুধু ২০২২ সালেই খাতায়কলমে ভারত ছেড়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৬২০ জন। তাঁরা স্থায়ী ভাবে ভারতের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে সালে ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার জন।  

বর্তমানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২০০-র বেশি মানুষ বিভিন্ন দেশে নেতৃস্থানীয় পদে কর্মরত। অন্তত ১৫টি দেশের পরিসংখ্যান তা নিশ্চিত করছে। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়াও, যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতেরা অন্য দেশের শীর্ষ পদে বহাল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলি এবং বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা প্রমুখ। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

 

news