নির্বাচন এড়াতে মার্শাল ‘ল’ ব্যবহার করছেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন, যার ফলে আগামী অক্টোবরে নির্ধারিত সংসদীয় নির্বাচন কার্যকরভাবে বাতিল করা হয়েছে।

জেলেনস্কি ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ সামরিক আইন ঘোষণা করেন। এরপর এ আইনের মেয়াদ বাড়ছেই। সাম্প্রতিকতম ৯০-দিনের মেয়াদ বৃদ্ধিটি গত ২০ মে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং আগামী ১৮ আগস্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

যদি ফের মার্শাল ল’ বৃদ্ধির সর্বশেষ অনুরোধ অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, তাহলে এটি আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বৃদ্ধি হবে।

তবে ইউক্রেনের আইন অনুসারে আগামী ২৯ অক্টোবরের পরে সংসদীয় নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী ৬০ দিনের প্রচারাভিযানের বিষয়টি আগামী ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা।

কিন্তু ইউক্রেনের বিদ্যমান আইনে সামরিক আইনের সময় নির্বাচনের প্রচারণা এবং ভোটদান নিষিদ্ধ। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত মে মাসে ঘোষণা করেন ‘আমাদের সামরিক আইন থাকলে আমরা নির্বাচন করতে পারব না। সামরিক আইনের সময় সংবিধান কোনো নির্বাচন নিষিদ্ধ করে।’

জেলেনস্কি এরপর বিবিসিকে বলেছিলেন যে ‘নির্বাচন শান্তির সময়ে হওয়া দরকার, যখন কোনও লড়াই নেই।’ এর মানে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়া না পর্যন্ত নির্বাচন দিতে চাচ্ছেন জেলেনস্কি।

 ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় ইউক্রেনের কিছু সমর্থক নির্বাচনের সম্ভাব্য বাতিলের সমালোচনা করেছে। কাউন্সিল অফ ইউরোপের পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি প্রধান টিনি কক্স মে মাসে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউক্রেনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।   সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

 

 

news