মণিপুরে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিও ইস্যু তদন্তে সিবিআই

৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি মোবাইলে রেকর্ড করা হয় ৪ মে। তার ঠিক একদিন আগে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরে। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসে ১৯ জুলাই। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত-সহ ৭ জন। 

তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, মামলার শুনানি যাতে মণিপুরের বাইরে কোথাও হয়, সেই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।

আজতক অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত সরকার এই মামলার বিচার ওই রাজ্যের বাইরে, প্রয়োজনে প্রতিবেশী রাজ্য আসামের একটি আদালতে করতে পারে। কেন্দ্র শনিবার সুপ্রিম কোর্টে তাদের দাবিগুলি উপস্থাপন করতে পারে।

মণিপুরে একদল যুবক বিবস্ত্র করে দুই মহিলাকে হাঁটানো, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। মণিপুরে দুই মহিলার দলবদ্ধ ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করার জন্য ব্যবহৃত ফোনটি এই মামলার তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

আজতকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মণিপুরের মেইতি এবং কুকি উভয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। উভয় সম্প্রদায়কে আলোচনার জন্য মুখোমুখি বসানোটাই তাদের মূল লক্ষ্য। মণিপুরের উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মতভেদ দূর করে শান্তি ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আশাবাদী যে শিগগিরই আলোচনায় একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।

ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবে মণিপুরের প্রতিটি উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করছেন এবং গোটা পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত খবর রাখছেন। এর মধ্যেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দিনে তিনবার করে মণিপুরের পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news