ভারতকে চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে বলল আইএমএফ

অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নয়াদিল্লি বাসমতি নয় এমন সাদা চালের রপ্তানি সীমাবদ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে যে এধরনের চালের রপ্তানি বন্ধ করার জন্য ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দামে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

আইএমএফ ভারতকে চালের ওপর থেকে রপ্তানির বিধিনিষেধগুলি সরাতে উৎসাহিত করেছে। ভারত হল বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক, দেশটি বিশ্বব্যাপী রপ্তানির ৪০ শতাংশ করে থাকে। 

ভারতের বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সম্প্রতি রপ্তানি বন্ধ করলেও দেশটর সরকার বলেছে কিছু শর্তে চালের রপ্তানি ফের করার অনুমতি দেবে।

আইএমএফ’র প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ের-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস বলেছেন, ভারতের চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্বের বাকি অংশে খাদ্যের দামে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। তাই ভারতের চাল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণ করতে উৎসাহিত করছি। 

দ্য হিন্দু বিজনেসলাইন পডকাস্টের সাথে কথা বলার সময়, কনসালটেন্সি ক্রিসিলের গবেষণার পরিচালক পুষান শর্মা উল্লেখ করেছেন যে, ভারত যেহেতু সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারক, তাই একটি নির্দিষ্ট বিভাগের উপর নিষেধাজ্ঞা "অবশ্যই বিশ্ব বাজারে কিছুটা শূন্যতা তৈরি করতে চলেছে।" তিনি পরামর্শ দেন কিছু দেশ যারা ভারত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাল আমদানি করে, প্রধানত আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, সেইসাথে বাংলাদেশ এবং নেপাল যারা এখনো এধরনের আমদানি সরকারি পর্যায়ে অব্যাহত রাখার সুযোগ পেয়েছে। 

নয়াদিল্লির চাল রপ্তানি ২০২২ সালে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২২.৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন পৌঁছেছে। ভারত থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং পাকিস্তানের সম্মিলিত রপ্তানির চেয়ে বেশি চাল রপ্তানি করে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ইতালি, স্পেন এবং শ্রীলঙ্কায় ভারত মূলত চাল রপ্তানি করে থাকে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news