নাইজারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিলেন জেনারেল ওমর চিয়ানি

শুক্রবার তিনি নিজেকে দেশের নেতা ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণার মধ্যদিয়ে দুদিনের নেতৃত্বহীন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেলো পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। 

গত বুধবার দেশটিতে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। এই দুদিনে বোঝা যাচ্ছিলো না অভ্যুত্থানের নেতা কে। দুদিন পর প্রকাশ্যে এলেন জেনারেল চিয়ানি। ৬২ বছর বয়সী এ সেনা অফিসার ২০১১ সাল থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান। আল-জাজিরা

প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে বুধবার রাত থেকেই আটক রাখা হয়েছে। কিন্তু কোথায় তাকে আটক রাখা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। বুধবার সন্ধ্যায় একদল সামরিক কর্মকর্তা জাতীয় টেলিভিশন কেন্দ্র দখল করে এবং অভ্যুত্থানের ঘোষণা করে। পরে সেনাবাহিনীও এই অভ্যুত্থানের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই সেনা অভ্যুত্থানের ব্যাপক নিন্দা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে এই অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান সহযোগী হিসেবে দেখা হয়। আর তাই বাজোমের মুক্তির আহ্বান জানিয়ে অন্যান্য দেশ এবং জাতিসংঘের সাথে যোগ দিয়েছে রাশিয়াও।

নাইজারে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক ফোনালাপে বাজুমকে ওয়াশিংটনের ‘অটল সমর্থনের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রেসিডেন্ট বাজোমের ‘অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত’ মুক্তি দাবি করেন।

৬৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাজোম দুই বছর আগে নাইজারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।  বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, দেশের কষ্টার্জিত গণতান্ত্রিক অর্জনকে রক্ষা করতে হবে। বাজোমের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সমর্থন লাভের চেষ্টা করছেন এবং সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news