১৯ মামলার মধ্যে ৫টিতে ক্ষমা পেলেন সুচি

 সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দি গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আরো ১৪টি মামলা রয়েছে। সুতরাং তিনি এখনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন না।

টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে বৌদ্ধদের ওয়ান খাও ফানসা বা বুদ্ধিস্ট লেন্ট উৎসব উপলক্ষে কমপক্ষে ৭০০০ বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই ঘোষণার মধ্যে আছেন সুচিও। টিভিতে প্রচারিত ঘোষণায় আরো বলা হয়েছে, সুচিকে ক্ষমা করেছেন স্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

ক্ষমা পাওয়া মামলাগুলো ছিলো ফৌজদারি বা ক্রিমিনাল। এসব মামলায় তার সাজাও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তাকে আটকই থাকতে হবে বলে জানা গেছে। কারণ আইন বিষয়ক একটি সূত্র বলেছেন, যেহেতু তার বিরুদ্ধে কিছু মামলায় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে, তাই তিনি পুরোপুরি মুক্ত হতে পারবেন না। কারণ, তাকে এখনও ১৪টি মামলা মোকাবিলা করতে হবে। যদি তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার সবটাতে সাধারণ ক্ষমা করা হতো, তাহলেই তিনি বেরিয়ে আসতে পারেন।

দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তও সেনাবাহিনীর হাতে আটক আছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আটটি মামলা। এর মধ্যে দুটি মামলায় তাকে ক্ষমা করা হলেও ছয়টি মামলা তাকে মোকাবিলা করতে হবে।

অসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজানার্স বলেছে, মিয়ানমারে এখনো ১৯ হাজার ৭০০ লোক আটকে আছে। কাউকে সন্দেহ হলেই সেনাবাহিনী তাকে আটক করছে।

২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পায় সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনী ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায়। সুচিকে আটক করে ক্ষমতা কেড়ে নেয় সামরিক জান্তা মিন অং হ্লাইং। এরপর সুচির বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিতে থাকে। তার মধ্যে দুর্নীতি, বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখা এবং করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিধিনিষেধ অমান্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে ৩৩ বছরের জেল দেয়া হয়।
 সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

 

news