মণিপুরের মর্গে পড়ে আছে শনাক্তহীন ৯৬ মরদেহ, নিখোঁজ ৩৩

শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে পুলিশের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাড়ে চার মাসের সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৫ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ জন নিহতের দেহ শনাক্তই করা যায়নি। আহত হয়েছেন ১,১১৮ জন। 

সহিংসতা কবলিত এলাকাগুলো থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ৩৩ জন। গোষ্ঠীসহিংসতার ঘটনায় মোট ৫১৭২টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৭৮৬টি বাড়ি এবং দপ্তরের পাশাপাশি ৩৮৬টি ধর্মস্থান রয়েছে। তল্লাশি অভিযানে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ৩৬০টি বাঙ্কার ধ্বংস করেছে।

এছাড়া গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক সহিংসতার সুযোগে বিভিন্ন থানা, এমনকি জেলা পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে ৫,৬৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৫ লাখ গোলাগুলি লুট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেইতেই এবং কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ১২৮টি চেকপোস্ট বসিয়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারির কাজ। একইসঙ্গে সপ্তাহের শুরু থেকে মণিপুর পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী সহিংসতার সময় লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান শুরু করেছে।

এদিকে মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলসকে সরানোর দাবিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দ্বারস্থ হয়েছে মেইতেই সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রীয় বাহিনী ধারাবাহিকভাবে কুকিদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। মেইতেই জনগোষ্ঠীর নাগরিক সংগঠনগুলো যৌথমঞ্চ ‘কোঅর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইন্টিগ্রিটি’ বা ‘কোকোমি’ প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলস প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। 

মেইতেইদের উপরে অত্যাচারে অভিযুক্ত কুকি সংগঠনগুলোকে আড়াল করায় অভিযুক্ত হয়েছেন আসাম রাইফেলসের কর্মকর্তারা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আসাম রাইফেলস।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি
 

news