‘বিশ্বকুঁড়ে’ প্রতিযোগিতায় সারাদিন শুয়ে ফোন ব্রাউজ, জিতলে লাখ টাকা পাবেন

 বিশ্বকুঁড়ের সেই প্রতিযোগিতায় একবার যদি জিতে যেতে পারেন, তাহলে পকেটে ঢুকবে কড়কড়ে লাখ টাকা। মন্টেনেগ্রোতে এমনই এক প্রতিযোগিতা চলছে। দেশটির উত্তরে ব্রেজনা গ্রামে এমনই অভিনব প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে। প্রায় মাসখানেক ধরে চলছে সেই প্রতিযোগিতা। 

সেখানে প্রতিযোগীদের কাজ হল, মেঝেতে পাতা মাদুরে শুয়ে থাকা। দিনের মধ্যে প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিবিষ্টচিত্তে এই কাজটাই করে যেতে হবে। রয়েছে মোবাইল ঘাঁটা কিংবা বই পড়ার অনুমতিও। শুয়ে শুয়ে খাবার-দাবার খেতেও সমস্যা নেই। চাইলে ঘুমিয়েও নিতে পারবেন। কিন্তু দাঁড়ানো কিংবা বসা? নৈব নৈব চ! ভুল করে ওই কাজটি করে ফেললে নাম কাটা যাবে আপনার।

প্রতি আট ঘণ্টায় এখানে টয়লেটে যাওয়ার জন্য মাত্র ১০ মিনিটের ছাড় রয়েছে। তার বেশি সময় প্রকৃতির টানে কাটিয়ে আসলেই বাদ পড়ার সমূহ শঙ্কা। 

গত বছরেও আয়োজন করা হয়েছিল এমন অভিনব প্রতিযোগিতার। সেবার টানা ১১৭ ঘণ্টা ঘুমিয়ে বিশ্বকুঁড়ের শিরোপা জিতেছিলেন এক প্রতিযোগী। তবে এই বছর প্রতিযোগিতা চলছে টানা ২৬ দিন ধরে! ২০২১ সালের বিজয়ী দুবরাভকা আকসিক জানিয়েছেন, ‘আমাদের সবার এখানে দারুণ লাগে। কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। সবাই সবাইকে ভালবাসে, কাজের মধ্যে শুধু শুয়ে থাকতে হবে।’

মন্টেনেগ্রোর বাসিন্দাদের অলস হিসাবে বদনাম ছিল। প্রাথমিকভাবে সেই বিষয়টি নিয়ে মশকরা করতেই শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। তারপর বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রতি বছরই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

‘প্রচলিত বিশ্বাস ভাঙতে খানিকটা উপহাস হিসেবেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। কে সবচেয়ে বেশি সময় শুয়ে থাকতে পারে তা দেখতে চেয়েছিলাম আমরা। এই বছর প্রতিযোগিতায় ২১ জন নাম দিয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে ৭ জন এখনও টিকে রয়েছেন,’ জানিয়েছেন উদ্যোক্তাদের একজন। এই ৭ জন ৪৭০ ঘণ্টা ধরে শুয়ে রয়েছেন,’ জানিয়েছেন তিনি।

সাধারণত একটি ম্যাপল গাছের তলায় মাদুর পেতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তবে এবছর খারাপ আবহাওয়ার কারণে কাঠের তৈরি একটি খামারবাড়িতে শুয়ে পড়ে রয়েছেন প্রতিযোগীরা। যিনি জিতবেন, ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ হাজার টাকা পকেটস্থ করবেন তিনি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news