মার্কিন কমেডিয়ান, অভিনেতা রাসেল ব্রান্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
অন্তত চারজন নারী রাসেল ব্রান্ডের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এবং ইমোশনালভাবে নারীদের নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে সানডে টাইমস, দ্য টাইমস এবং চ্যানেল ৪ ডিসপাচেস-এর যৌথ তদন্তে।
রাসেল ব্রান্ড বলেছেন, যেসব সম্পর্ক হয়েছে তা সবসময়ই সম্মতিক্রমে ঘটেছে। যে সময়ের অভিযোগ করা হয়েছে তখন রাসেল ব্রান্ড বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে আছে বিবিসি রেডিও ২, চ্যানেল ৪। এছাড়া তিনি ছিলেন হলিউডের একজন অভিনেতা। অন্যরা অভিযোগ করেছেন তিনি নানা রকম নির্যাতনমুলক আচরণ করতেন।
তার বিরুদ্ধে এসব তদন্ত প্রকাশিত হয়েছে শনিবার। অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তিনি ২০০০ মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওম্বেলি পার্ক থিয়েটারে পারফরমেন্স করেছেন। সেখানে তিনি প্রায় এক ঘন্টা কাটান। এ সময় তার দিকে অভিযোগের তীর ছোড়া হয়। কিন্তু তিনি তা সরাসরি কানে তোলেননি। দর্শকদের বলেছেন, কিছু একটা বিষয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু বলবেন না।
একজন নারী বলেছেন, লস অ্যানজেলেসে নিজের বাড়িতে রাসেল তাকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে ধর্ষণ করেছেন। দ্য টাইমস বলেছে, ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে মেডিকেল রিপোর্ট দেখেছে তারা।
দ্বিতীয় নারী অভিযোগ করেছেন, রাসেল ব্রান্ডের একেবারে উঠতি যৌবনে তাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। ওই সময় এই নারীর বয়স ছিল ১৬ বছর। তিনি তখনও স্কুলে পড়তেন। এ সময় তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাসেল ব্রান্ড।
তৃতীয় নারীর অভিযোগ রাসেল ব্রান্ড তাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। ওই সময় তিনি তার সঙ্গে লস অ্যানজেলেসে কাজ করতেন। তিনি এ বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিতেন রাসেল ব্রান্ড।
চতুর্থ নারীর অভিযোগ রাসেল তাকে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে এই নির্যাতন চালানো হয়েছে।
শুক্রবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাসেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ। বলেছেন, একটি টিভি কোম্পানি এবং খবরের কাগজের পক্ষ থেকে তিনি চিঠি পেয়েছেন। তা ছিল আগ্রাসী আক্রমণত্মক। এসব অভিযোগ করা হয়েছে এমন এক সময়কে নিয়ে, যখন আমি কাজ করতাম মূলধারায়, যখন আমাকে নিয়ে সব সময় খবর প্রকাশ হতো। আমি ছবি করতাম।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


