পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ -পিটিআই'র চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভির প্রতি গভীর হতাশা ও অসন্তুষ্ট।

৯ই মে দাঙ্গা মামলায় অভিযুক্ত আলিমা সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে হাজির হন। সেখানে আদালত তাকে ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আসাদ উমরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ ১৬ই অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। জিন্না হাউসে হামলা মামলায় চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বিচারক।

শুনানির পর ইমরান খানের বোন গণমাধ্যমকে বলেন, তার ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাঁর কথায়, ওঁর ওজন অনেকটাই কমে গিয়েছে। শরীরচর্চা বা হাঁটার কোনও জায়গা নেই তাঁর।

তিনি আরও বলেন, সাইফার মামলায় তাকে আরও বেশি দিন কারাগারে রাখার প্রস্তুতি চলছে।

বোন আলিমার আরও দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন, আলোচনার জন্য তাঁর কাছে কেউ আসেনি। প্রেসিডেন্ট আলভির 'জাতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা'র জন্য তিনি গভীর দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেন।

গত মাসে পিটিআইয়ের কোর কমিটি এক কঠোর বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট আলভিকে তার সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দাবি করেছিল যে তাকে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে এবং আর বিলম্ব না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে।

কোর কমিটি জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করা প্রেসিডেন্ট যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করেন, তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন, সংবিধান ও জনগণের মৌলিক সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তিনি দায়ী থাকবেন।

কমিটি জানিয়েছে, সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণার ফলে 2022 সালের এপ্রিলে 'সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রের' পর থেকে দেশ জুড়ে যে বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তার অবসান ঘটবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার জোর দিয়ে বলেছে, এ ধরনের ঘোষণার ক্ষমতা কেবল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন-ইসিপির হাতে রয়েছে। শুরুতে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

তবে, রাজা এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে এটিকে একটি বৃথা অনুশীলন হিসাবে খারিজ করে দেন এবং ২০১৭ সালের ইসিপি আইনে সংশোধনের উল্লেখ করে তারিখ ঘোষণার ক্ষমতা কেবল ইসিপির রয়েছে বলে জোর দেন।

আইনটির 57(1) ধারা সংশোধনের আগে রাজা বলেছিলেন, নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্ধারণের আগে রাষ্ট্রপতিকে ইসিপির সঙ্গে পরামর্শ করতে হতো। তবে 57 ধারা সংশোধনের পর সাধারণ নির্বাচনের দিন বা তারিখ ঘোষণার ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

news