একমাত্র ইরান ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে অবিচল রয়েছে: নাখালা

ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের প্রধান জিয়াদ আন-নাখালা বলেছেন, ইমাম খোমেনীর (রহ.) নেতৃত্বাধীন ইরানের ইসলামি বিপ্লব বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মনে আশা জাগিয়েছিল। এছাড়া, তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানই একমাত্র দেশ যেটি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাদের পাশে অবিচল রয়েছে।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বক্তব্যে আন-নাখালা এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইমাম খোমেনী বিশ্বের আনাচে-কানাচে থাকা মুসলমানদের মনে আশার সঞ্চার করেন এবং বলেন, মুসলমানদের জন্য সুদিন শুধু অপেক্ষাই করছে না বরং সুদিন আসবেই।

গাজা-ভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ইমাম খোমেনীর ইসলামি বিপ্লব বিশ্বে বিদ্যমান সব রকম হিসাবনিকাশ পাল্টে দিয়েছিল এবং সব ধরনের অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইরত নির্যাতিত জনগোষ্ঠীগুলো শক্তি ও সাহস পেয়েছিল। বিশেষ করে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মাতৃভূমি মুক্ত করার ব্যাপারে নিশ্চিত আশাবাদী হতে পেরেছিল।

আন-নাখালা বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান অটল ও অবিচল রয়েছে। একমাত্র ইরানই আল-কুদস ও ফিলিস্তিনের মুক্তির কথা বলছে।”

১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরান থেকে মার্কিন-সমর্থিত স্বৈরাচারী শাহ সরকার উৎখাত হয়ে যায়।ইমাম ঘোষণা করেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড মুক্ত হতে বাধ্য। ১৯৮৯ সালের ৩ জুন ইসলামি বিপ্লবের এই মহান নেতা মৃত্যুবরণ করেন।খরব পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news