গাজায় ত্রাণ খুবই স্বল্প পরিমাণে পৌঁছাচ্ছে

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ত্রাণ খুবই স্বল্প পরিমাণে পৌঁছাচ্ছে। সর্বশেষ গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আরো ১২টি ট্রাক ঢুকেছে। কিন্তু সেখানে এখনো কোন জ্বালানি পৌছায়নি।

আন্তর্জাতিক এইড সংস্থা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টায় মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গত ২১ অক্টোবর ২০টি এবং পরদিন ১৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে।  ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার তারা রাফাহ সীমান্তে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছ থেকে ১২টি ত্রাণবাহী ট্রাক গ্রহণ করেছে, যাতে খাবার, ওষুধ এবং চিকিৎসাসামগ্রী রয়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচীর প্রধান বলেন, মিশর থেকে গাজায় ঢোকার মুখে রাফা সীমান্ত পারাপারে অতিরিক্ত কঠোর তল্লাসির কারণে ত্রাণ সরবরাহ ধীর হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচীর প্রধান সিনডি ম্যাককেইন আরো বলেন, তিনি বোঝেন যে, অস্ত্র যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য তল্লাসিটা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু খাদ্য-পণ্য প্রবেশ করাটা আরো সহজ হওয়া উচিত।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আমরা মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা ট্রাক প্রবেশ করাতে পেরেছি।” “আমাদের আরো বেশি পরিমাণে ট্রাক প্রবেশ করানো দরকার। গাজায় আমাদের নিরাপদ, অবাধ প্রবেশাধিকার দরকার যাতে আমরা মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পারি এবং ক্ষুধায় যাতে কেউ মারা না যায় তা নিশ্চিত করতে পারি। কারণ এটাই হচ্ছে।” কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে মিশর সফরের সময় ম্যাককেইন বলেন, প্রতিটি ট্রাককে চেকপয়েন্টে তল্লাসির জন্য তাদের মালামাল নামাতে হয়, তল্লাসির পর সেগুলো আবার তুলতে হয়।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে যে, জ্বালানির অভাবে গাজায় তাদের কার্যক্রম ‘স্থবির’ হয়ে পড়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ'র যোগাযোগ পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলেছেন, ‘আজকের(বৃহস্পতিবার) মধ্যে হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহ পাওয়া না গেলে গাজায় তারা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।’সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news