বিশ্ব কীভাবে গাজার পরিস্থিতি মেনে নিচ্ছে, প্রশ্ন রেডক্রস প্রধানের

 আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার পর লোকজন পালিয়ে যাচ্ছেন
 ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আজ ৩৭ দিন যাবত অবিরাম নৃশংস হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে সাড়ে ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৭ হাজার।

বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এমন অবস্থায় গাজার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে মেনে নিতে পারে, এমন প্রশ্নই তুলেছেন রেডক্রস ফেডারেশনের প্রধান ফ্রান্সেস্কো রোকা। অবিলম্বে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস (আইএফআরসি)-এর প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সেস্কো রোকা শনিবার বলেছেন, গাজার চলমান লড়াই অবশ্যই অবিলম্বে ‘বন্ধ করতে হবে’।

গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে  ইসরায়েলের বাহিনী। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালের জেনারেটর ব্যবস্থা। যে কারণে এই হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে রোগীরা। এমনকি জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা কয়েক ডজন শিশু মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে! গাজার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে মেনে নিতে পারে? আল-কুদস হাসপাতালে ইনকিউবেটরে থাকা শিশুরা এবং আইসিইউতে থাকা রোগীরা জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন।’ রোকা বলেছেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং ‘জ্বালানিসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী গাজার উত্তরাঞ্চলেও পৌঁছাতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ইতোমধ্যেই সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু ও তিন হাজারের বেশি নারী।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news