গাজায় আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না: ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচএ) বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার কোনো খোঁজখবর তারা পাচ্ছে না। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে হাসপাতালটিতে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপত্তা নিয়েও সংস্থাটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আল শিফা হাসপাতাল হল গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় শনিবার থেকে আল শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

 ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরই মধ্যে উপত্যকাটির আলশিফা হাসপাতালে হামলা চালাতে ইসরায়েল মারাত্মক রাসায়নিক সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা।

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় এক সংবাদ সম্মেলনে মাই আল-কাইলা বলেন, ‘এটি আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ একটি অস্ত্র। আমরা ভাবছি, আল–শিফা হাসপাতালে সাদা ফসফরাস দিয়ে হামলার জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার দায়িত্ব কার।’

গাজায় ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গাজার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রোগীদের ভাগ্যে এখন অনিবার্য মৃত্যু। আর আমরা এর জন্য ইসরায়েল, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করব।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পর থেকে উপত্যকাটিতে অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল বাহিনী। গত মাসেও গাজা ও লেবাননে সাদা ফসফরাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ নাকচ করে দেয় ইসরায়েল বাহিনী।

সাদা ফসফরাস অত্যন্ত দাহ্য রাসায়নিক। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে তা জ্বলে ওঠে। সাদা ফসফরাস ঘন সাদা ধোঁয়া তৈরি করে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় এ রাসায়নিক যখন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ২০০৮-০৯ সালেও গাজায় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
চলমান গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যার অধের্কেরও বেশি শিশু ও নারী।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news