ফিলিস্তিনের সমর্থনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও লন্ডনে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষ কেপ টাউনে বিক্ষোভ করেছেন। বিভিন্ন সুশীল সমাজ আয়োজিত এ বিক্ষোভ মিছিলে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদী ধর্মের অনুসারীরাও অংশ নেন। শনিবার লন্ডনেও তিন লাখ মানুষ ফিলিস্তিনি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

লন্ডনে ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইন নামে এ বিক্ষোভ শুরু হয় স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায়। বিক্ষোভে অনেককে ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’, ‘গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করো’ লেখা ব্যনার দেখা যায় বিক্ষোভে।

ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি সাধারণ সম্পাদক ফিকিলে এমবালুলা ও এএনসির এমপি ও নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডালা ম্যান্ডেলা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েচেন। এ ছাড়া তারা প্রিটোরিয়ায় ইসরায়েল দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি জানান।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার ঘটনায় দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে তার কূটনীতিকদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। গাজায় হামলার ঘটনায় চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইলিয়েভ বেলোটসেরকভস্কিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে বড় এক বিক্ষোভ হয়েছে। গত শনিবারের এই বিক্ষোভে তিন লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন। এই বিক্ষোভ প্রতিহত করতে পাল্টা বিক্ষোভে নামা ৮২ জনকে আটক করেছে লন্ডনের পুলিশ। পাল্টা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশটির কট্টর ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানা গেছে। পাল্টা বিক্ষোভে নামা ছোট ছোট একাধিক দলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। একই সঙ্গে ‘হামাসের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে’ যারা বিশাল এই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ‘ইহুদিবিদ্বেষী স্লোগান এবং হামাসপন্থী বিভিন্ন ব্যানার ও পোশাক পরেছিলেন’ তাদের আক্রমণ করেও বক্তব্য দিয়েছেন সুনাক। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news