মিয়ানমারে অস্ত্রাগার দখল করল প্রতিরোধ যোদ্ধারা

শান রাজ্যের অস্ত্রাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকের পাশাপাশি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের যৌথ বাহিনী অন্তত ছ’টি ট্যাঙ্ক এবং বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া গাড়িও দখলে করে নিয়েছে। ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনানুষ্ঠানিক শান্তিচুক্তি থেকে সরে গিয়ে আরাকান আর্মি অপারেশন ১০২৭’র আওতায় হামলা শুরু করলে উল্লিখিত সেনা চৌকিগুলো শূন্য হয়ে যায়।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর মিয়ানমারে তুমুল যুদ্ধের পরে প্রতিরোধ যোদ্ধারা মঙ্গলবার নামতু নদীর উত্তরে হেসেনভি শহর ও সেনাঘাঁটি দখল করেছে। মিয়ানমার সেনা পিছু হটে নদীর দক্ষিণে অবস্থান নিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। বস্তুত, উত্তর মিয়ানমারে কুনলং, মনিক্যাট, নানবেং (লাশিও-টাংইয়ান রোডে) এবং মোনেকো ছাড়া সীমান্তবর্তী অন্য কোনও সেনাঘাঁটি এখন সামরিক জান্তা সরকারের দখলে নেই। মঙ্গলবার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোট জানিয়েছে, তারা রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকেও জান্তা সরকারকে উৎখাত করবে।

শান রাজ্য এবং সাগায়িং প্রদেশে সাফল্যের পরে পশ্চিমের শিন প্রদেশেও হামলা শুরু করেছে প্রতিরোধ যোদ্ধাগোষ্ঠী - ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নতুন জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, পশ্চিম মিয়ানমারে সক্রিয় দুই বিদ্রোহী বাহিনী ‘শিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ) পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জান্তা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’।

জোরামের চাম্পেই জেলা লাগোয়া সীমান্তের অদূরে মিয়ানমার সেনার রিখাওদর এবং খাওমাওয়ি ছাউনি দু’টি সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিরোধ যোদ্ধা দখল করে। প্রাণভয়ে ৪২ জন মিয়ানমার সেনা জড়োকাওথান সীমান্ত চেকপোস্ট পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছেন। মিজোরাম পুলিশের আইজি লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংটে মঙ্গলবার বলেন, ‘সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামেরও দখল নিয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news