ভারতের মহারাষ্ট্রে ৭ জনের শরীরে জিকা ভাইরাস, সতর্কতা জারি

সপ্তাহখানেক আগেই প্রথমে বেঙ্গালুরু এবং তারপর কর্নাটকের অন্যান্য জেলায় ধরা পড়েছিল জিকা ভাইরাস। এরপরই পাশের রাজ্য মহারাষ্ট্রে একটার পর একটা জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা সামনে আসছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে পরপর সাতটি জিকা আক্রান্ত হওয়ার পরই সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তর সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি পুনেতেও এক মহিলার শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তিনি ইয়েরওয়াড়া এলাকার প্রতীক নগরের বাসিন্দা। গত ৫ নভেম্বর থেকে তার জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা, ফুসকুড়ির মতো বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়। ৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৬৪ বছর বয়সি ওই মহিলাকে। এরপরই পুনের জাহাঙ্গির হাসপাতালের ডাক্তাররা জানান, ওই মহিলা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত।

রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অক্টোবরে মহিলা কেরালা গিয়েছিলেন। ফেরার সময় কর্নাটক হয়ে ফিরেছেন। মনে করা হচ্ছে, খুব সম্ভবত সেই সময়েই তিনি অন্য কোনও জিকা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং তারপর বাড়ি ফিরতেই তার শরীরেও বাসা বাঁধে জিকা ভাইরাস। তবে আপাতত তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং পরিবারের কারও শরীরে জিকার উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

পরপর ৭ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতেই মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। তারা নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যের প্রতি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রতিটি গর্ভবতী মহিলাকে ট্র্যাক করা এবং তাদের প্রসবের পরে ফলোআপগুলি লক্ষ্য রাখা। সন্তান বা মায়েদের মধ্যে জিকার কোনওরকম উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কিনা, সেসবই নজরে রাখা যাবে।

চিকিৎসকদের মতে, মহারাষ্ট্রে গত ৩ বছরে মোট ১০টি জিকা কেস ধরা পড়েছে। তবে কোনওটিতেই তেমন জটিলতা হয়নি। কিন্তু সদ্যোজাত সন্তান বা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই ভাইরাস ঝুকিপূর্ণ হতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি প্রয়োজন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news