গাজার পরিস্থিতি ‘মহাবিপর্যয়কর’: ফলকার টুর্ক

গাজার পরিস্থিতি মহাবিপর্যয়কর হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান ফলকার টুর্ক। গাজার ফিলিস্তিনিরা ‘চূড়ান্ত বিভীষিকাময়’ পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। পর্যাপ্ত খাবার নেই। মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর মতো অবস্থা নেই। 

ফলকার টুর্ক বুধবার বলেন, গাজার বাস্তুচ্যুত ১৯ লাখ মানুষকে দক্ষিণ গাজার ছোট্ট একটি এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে। সেখানে তাদের গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। গোটা পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর।

 জাতিসংঘ মানবাধিকারপ্রধান আরও বলেন, ‘মানবিক সহায়তার সঙ্গে যুক্ত আমার সহকর্মীরা পরিস্থিতিকে মহাবিপর্যয়কর বলে অভিহিত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘এ বিপর্যয় সম্পূর্ণভাবে অনুমিত ছিল এবং এটা প্রতিরোধ করা যেত।’

এদিকে গাজার পরিস্থিতি প্রতি মিনিটে অবনতি হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনে ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, গোটা গাজা উপত্যকা এখন বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সাংবাদিক মোনিম আল-আশরাফের পরিবারের ২১ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় তাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আল-জাজিরা প্রতিনিধির মা-বাবা, ভাই-ভাবি, ভাতিজা-ভাতিজিরা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদের লাশ উদ্ধার করা যায়নি বলেও জানান মোনিম। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আল-জাজিরা অ্যারাবিকের প্রধান প্রতিবেদক ওয়ায়েল আল-দাহদুহের পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিহত হন।

টার্ক আরও বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরের পরিস্থিতিও চরম আতংকজনক। তিনি সেখানকার মানুষের অধিকার লংঘনকারীদের আইনের ঊর্ধ্বে রাখার অবসান ঘটাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

news