ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেছেন, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো, ইরান কখনই সিরিয়ায় একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলকে সমর্থন করতে পারেনা।

তিনি গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ার ঘটনায় ইরানের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পার্সটুডে জানিয়েছে তিনি বলেছেন,

সিরিয়ার পরিস্থিতির ব্যাপারে একেক জন একেকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। দোহা বৈঠকে, আস্তানা বৈঠকে এবং পাঁটি আরব দেশের অংশগ্রহনে অর্থাৎ পাঁচ যোগ তিন গ্রুপের বৈঠকে কিছু বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। আর তা হচ্ছে, সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা, সংঘাত বন্ধ করা, সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু করা এবং সন্ত্রাসীমুক্ত সিরিয়া গঠন করা।

কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, দুর্ভাগ্যবশত, এই কয়েক দিনে ইসরাইল সিরিয়ার অখণ্ডতার জন্য বিরাট হুমকি হয়ে উঠেছে। গত ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো সিরিয়ার আরেকটি অংশ ইসরাইল দখল করে নিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ৩৫০ নম্বর প্রস্তাব  লঙ্ঘন করেছে। সিরিয়া পরিস্থিতিতে আগে থেকেই উদ্বিগ্ন এ অঞ্চলের দেশগুলো দোহায় বৈঠক করেছিল যাতে এ ধরণের পরিস্থিতি রোধ করা যায়।

আমি এটাও বলতে চাই যে, সিরিয়ায় আমাদের উপস্থিতির পেছনে শক্তিশালী কারণ ছিল এবং সেখান থেকে আমাদের ফিরে আসা ছিল একটি দায়িত্বশীল প্রস্থান। সিরিয়ার ওপর আমরা আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইনি এবং আমরা অতীতের সাম্রাজ্যকেও ফিরিয়ে আনতে চাইনি। সিরিয়ায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল সহিংসতা, চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করা। সিরিয়া সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই আমরা ওই দেশটিতে অবস্থান করছিলাম।

আমাদের উপস্থিতি ছিল উপদেষ্টার ভূমিকায়। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলকে সমর্থন বা রক্ষা করার জন্য আমরা কখনোই সিরিয়ায় ছিলাম না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সিরিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে সাহায্য করা। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে প্রতিটি দেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার গ্যারান্টি।

পার্সটুডে

news