সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ ইসরায়েল

 যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ওয়েস্ট ব্যাংকের একটি ইউনিটের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইসরায়েলি সরকার তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

ইসলায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্য এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ইসরায়েল সরকার সম্ভাব্য সব উপায়ে এই ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে। তিনি লেখেন, ‘একটা সময়ে আমাদের সৈন্যরা দানবিক সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করছে।’ আইডিএফের একটা ইউনিটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে চরম অযৌক্তিক এবং অনৈতিক বলেছেন তিনি।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার (ওয়ার ক্যাবিনেট) সদস্য বেনি গ্যান্তোজ বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা ‘আমাদের  শত্রুদের’ ভুল বার্তা দেবে। বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে। এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি লেখেন, ‘তারা (নেতজাহ ইয়েহুদা ইউনিট) সামরিক আইন মেনে চলে এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করে।’

উল্লেখ করার বিষয় হলো মার্কিন গণমাধ্যম প্রোপাবলিকায় বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা পরিকল্পনার অধীনে ইসরায়েলের নেতজাহ ইহুদা ইউনিটের সদস্যরা, যাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, তারা কোনো মার্কিন সামরিক সহায়তা পাবেন না বা কোনো প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ আউটলেট অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কয়েক দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারেন। তিনটি সরকারি সূত্র থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার আগে ওয়েস্ট ব্যাংকের ঘটনার উপর ভিত্তি করে, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইউনিটটিকে ২০২২ সালে ওয়েস্ট ব্যাংক থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযোগ উঠেছে আইডিএফ এবং পুলিশের একাধিক ইউনিটের বিরুদ্ধে। তাদের আচরণের বিস্তারিত মূল্যায়নের পরনিষেধাজ্ঞার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্সিওস জানিয়েছে, অন্য ইউনিটগুলোকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। কারণ তারা আচরণে বদল ঘটিয়েছিল।

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৯৭ সালের ‘লেহি আইন’ অনুযায়ী নেয়া হয়েছে। এই আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বিদেশি নিরাপত্তা এবং সামরিক ইউনিটগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তা এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news