জার্মানিতে মুসলিম শিক্ষার্থীরা আইনের উর্ধ্বে স্থান দেয় ইসলামকে

জার্মানির আইনের চেয়ে স্থানীয় মুসলিম শিক্ষার্থদের কাছে নিজেদের ধর্মীয় আইন প্রাধান্য পায়। এক জরিপে দেখা গেছে এক তৃতীয়াংশ মুসলিম শিক্ষার্থী ইসলামের অবমাননা সহ্য করে না। 

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি মুসলিম বসবাস করছে, যা সমগ্র জনসংখ্যার প্রায় ৭%। লোয়ার স্যাক্সনি ক্রিমিনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে রোববারের প্রতিবেদনে বিল্ড, রিপোর্ট করেছে যে ৬৭.৮% স্কুলছাত্র বলেছেন, জার্মানির আইনের চেয়ে কুরআনের নিয়ম আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ ৪৫.৮% বলেছেন যে ইসলামী ধর্মতান্ত্রিক শাসন হল রাষ্ট্রীয় সরকারের সর্বোত্তম রূপ, অর্ধেকেরও বেশি দাবি করেছে যে এটি শুধুমাত্র তাদের ধর্ম যা ‘আমাদের সময়ের সমস্যার’ উত্তর দেয়।

সমীক্ষা আরো বলছে, ৩৫.৩% পরামর্শ দিয়েছে যে ইসলাম এবং এর নবীকে নির্দেশিত অপমান হিংসাত্মক আক্রমণের জন্য যথেষ্ট কারণ। উত্তরদাতাদের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বের সৃষ্ট ইসলামের হুমকি’ মুসলমানদের পক্ষ থেকে একটি সহিংস প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করে।

জার্মান পার্লামেন্টে বিরোধী খ্রিস্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এর প্রতিনিধিত্বকারী হামবুর্গের ক্রিস্টোফ ডি ভ্রিস বলেছেন যে ‘ জরিপটি দেখায় যে রাজনৈতিক ইসলাম ইতিমধ্যে জার্মানিতে কতটা গভীর চিহ্ন রেখে গেছে। আইন প্রণেতা সমস্যাজনক প্রবণতাটিকে ‘সিস্টেমেটিক ইন্ডোকট্রিনেশন’ এর জন্য দায়ী করে বলেছেন যে বহুকাল ধরে তা ব্যর্থ হয়েছে।

প্রতিবেশী শ্লেসউইগ-হলস্টেইন অঞ্চলের শিক্ষা সচিব, সিডিইউ পার্টির কারিন প্রিয়েন, সতর্ক করে বলেন, যদি ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও ভালভাবে প্রবেশ করানো না হয়, ‘সামাজিক সংহতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

গত কয়েক দশকে তুরস্ক থেকে হাজার হাজার মুসলিম অভিবাসী জার্মানিতে এসেছে। সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে প্রচুর মুসলিম অবিবাসী জার্মানিতে চলে আসে। তারা জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সহজ অভিবাসী নীতির সুযোগ গ্রহণ করে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news