ইহুদিবাদী ইসরাইলের হারেৎজ পত্রিকা জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে দশ হাজার ইসরাইলি কানাডায় পালিয়ে গেছে।

পত্রিকাটি এক প্রতিবেদনে, গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কানাডায় ইসরাইল থেকে অভিবাসনের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে লিখেছে: রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি অবিশ্বাস, অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, সংঘাতের তীব্রতা, নিরাপত্তাহীনতা, সামাজিক অবিচার, বৈষম্য এবং শাসন অক্ষমতায় একচ্ছত্র  আধিপত্য ইহুদিবাদীদের কানাডায় পালানোর প্রাথমিক কারণ। পার্সটুডের খবর, কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত, কানাডা সরকার ইহুদিবাদীদের জন্য ৩৪২৫টি  অস্থায়ী কাজের ভিসা প্রদান করেছে।

ইসরাইলের টিভি চ্যানেল-12 এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দশ লাখেরও বেশি ইহুদিবাদী ইসরাইল ত্যাগ করেছে এবং তারা নিজেদের আসল যে দেশ বা অঞ্চল থেকে এসেছিল সেইসব দেশে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় ফিরে গেছে।

ইসরাইলের জনমত জরিপ সংস্থা "সিজেআই" এর ফলাফলে দেখা গেছে, ইসরাইলের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী ২৯ শতাংশ ইহুদিবাদী পালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে এবং তাদের মধ্যে ৭১ শতাংশ আগামী মাসগুলোতে তাদের জীবনমান ও পরিস্থিতি সম্পর্কে আশাবাদী নয়।

জরিপের এই ফলাফলে আরো দেখা গেছে, ৮৪ শতাংশ ইহুদিবাদী ইসরাইলি শাসনের অধীনে সন্তুষ্ট নয় এবং জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশ বিশ্বজুড়ে ইহুদিবাদীদের বিরোধিতাকে সামরিক হুমকির মতো বিপজ্জনক বলে মনে করে।

এ প্রসঙ্গে আরব বিশ্বের বিখ্যাত বিশ্লেষক "আব্দুল বারী আতওয়ান" লিখেছেন: আল-আকসা তুফান অভিযান শুরুর প্রথম ৬ মাসে পাঁচ লাখ ইহুদি ইসরাইল ত্যাগ করেছে।

আল-আকসা তুফান অভিযানের পর, দ্বৈত নাগরিকত্বসহ বিপুল সংখ্যক ইহুদিবাদী তাদের আসল দেশে ফিরে গেছে। দলে দলে ইহুদিদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি ইসরাইল সরকারের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যা অব্যাহত থাকলে দখলদার ইসরাইলের পতন ঘটাতে পারে। 

news