যুদ্ধবিরতির আলোচনা সমাপ্ত , খুব শিগগিরই হামলার হুমকি ইসরায়েলের

হামাসের যুদ্ধবিরতির দাবিকে ‘চরম অবস্থান’ বলে উল্লেখ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল যদি তা মেনে নেয় তাহলে ‘আরেকটি ৭ অক্টোবর ঘটনা সংঘটিত হওয়া হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র। কায়রোয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিদলের আলোচনা চলার সময় রোববার তিনি এই মন্তব্য করেন। 

ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতির আলোচনায় তাদের কোন প্রতিনিধিদল পাঠায়নি। এ ছাড়া একজন সিনিয়র কর্মকর্তা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, হামাস বলেছে, কায়রোয় যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুইদিনের আলোচনা শেষ হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কায়রোর সর্বশেষ দফায় ‘বিস্তারিত ও গুরুত্বপূর্ণ’ আলোচনা চলে রোববার। হামাস যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের তাদের দাবি এদিনও পুণর্ব্যক্ত করে যা ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিন আলোচনায় দৃশ্যত বেশ অগ্রগতির আভাস দেয়া হয়েছিল কিন্তু নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধ করার আন্তর্জাতিক চাপকে প্রতিহত করার নিজ সংকল্পে অনড় থাকার কথা জানানোর পর তা কার্যত মিলিয়ে যায়। 

গাজার প্রধান একটি ক্রসিংয়ের কাছে মোতায়েন ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামাস রোববার বড় ধরণের নিখুঁত হামলা চালানোর পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট বলেন, রাফাহ ও গাজার অন্যান্যস্থানে তারা খুব শিগগিরই প্রবল হামলা চালাবেন তারা। রাফাহতে হামলার জন্য মোতায়েন এ সেনাদের ওপর হামাসের এ হামলায় তিন সেনা নিহত হয়।

এদিকে আলোচনার প্রধান মধ্যস্থতাকারী সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্ন্স সোমবার(৫ মে) নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি এখন কাতার সফর করছেন। মিসরের সঙ্গে কাতারও আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।

হামাসের প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে পরামর্শ করতে কায়রো থেকে কাতারে গেছে। সেখানে দলটির সিনিয়র নেতারা অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার তার ফের কায়রোয় ফিরে আসবেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news