রাফাহ’র বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুর শিবিরে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে এ ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। 

মন্ত্রণালয় জানায়, রাফাহ’র নিরাপদ তাঁবু শহরের আশ্রয় নেওয়ার বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশুরা এ ‘গণহত্যার হাতিয়ার’ শিকার হয়। গণহত্যার চালানোর জন্য সেখানে ভয়াবহ অস্ত্রের হামলা চালায় ইসরায়েল। এসব মানুষ আগে থেকেই পানি, খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত ছিল।

ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ গাজার বিভিন্ন এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অব্যাহতভাবে বোমাবর্ষণ করছে। এসব এলাকায় হামলা চলার মধ্যে রাফাহ’র তাল-আস-সুলতান এলাকার তাঁবুর শিবিরে এই হামলা চালাল বর্বর দেশটি। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, এসব এলাকায় হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা দাবি করেছে যে, রাফাহ’য় হামাস যোদ্ধাদের টার্গেট করে চালানো এ হামলায় ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী আরও বলেছে, এ হামলায় কিছু বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছে এবং এই ঘটনাটি তদন্তাধীন করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আগ্রাসন ও গণহত্যায়  গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯৮৪ জন নিহত এবং আরও ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপাপড়ে নিখোঁজ আছেন আরও ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news