পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার পদে এই প্রথম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম। ডক্টর হেলেন মেরি রবার্টস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম নারী ব্রিগেডিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে, ২০২০ সালের জুন মাসে মেজর জেনারেল নিগার জোহার পাক আর্মির প্রথম নারী লেফটেন্যান্ট র‌্যাঙ্কে উত্তীর্ণ হয়ছিলেন। 

পাকিস্তান আর্মি মেডিক্যাল কোরে ব্রিগেডিয়ার এবং কর্নেল পদে হেলেনকে বেছে নিয়েছে সিলেকশন বোর্ড। এই পদোন্নতির জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। তিনি বলেছেন, গোটা পাকিস্তান আজ হেলেনের জন্য গর্বিত। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এভাবেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারী দেশের সেবা করে চলেছেন, পরিশ্রম করে চলেছেন স্বতন্ত্রভাবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার হিসেবে নির্বাচিত হওয়া প্রথম সংখ্যালঘু নারীর সম্মান পেয়েছেন হেলেন।'

পাকিস্তানের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে দেশে ৯৬.৪৭ শতাংশ মানুষ মুসলমান। তার পরেই রয়েছেন হিন্দুরা, তবে শতাংশে মাত্র ২.১৪। এর পরে ১.২৭ শতাংশ খ্রিস্টান, ০.০৯ শতাংশ আহমদী মুসলিম এবং ০.০২ শতাংশ অন্যান্য।

দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়ই সামনে এলেও, সরকারি তরফে বহুবারই স্বীকার করা হয়েছে একাধিক সংখ্যালঘু কৃতীর অবদান। গত বছরেও রাওয়ালপিন্ডির ক্রাইস্ট চার্চে বড়দিনের উৎসব চলাকালীন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির উল্লেখ করেছিলেন, দেশের উন্নয়নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তার পরেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে ইতিহাস রচনা করলেন।

জানা গেছে, ব্রিগেডিয়ার হেলেন একজন সিনিয়র প্যাথলজিস্ট এবং গত ২৬ বছর ধরে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। সে দেশের বহু যুদ্ধ, জয়, পরাজয়ের সাক্ষী তিনি। আবার অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তার তিক্ত অভিজ্ঞতাও কম নয়।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news