রাফাহর রাস্তায় ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মরদেহ

 গাজার সর্ব দক্ষিণের নিরাপদ ঘোষিত রাফাহ শহরের রাস্তায় রাস্তায় অসংখ্য মরদেহ ছাড়াও ইসরায়েলি হামলায় আহত বহু ফিলিস্তিনি অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কারণ তাদেরকে উদ্ধার করতে সেখানে কোন অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারছে না। কুয়েতি হাসপাতালের পরিচালক সুহাইব আল-হামস একথা জানান। 

তিনি বলেন, রাফাহর চিকিৎসা পরিস্থিতি ভয়াবহ বিপর্যয়কর। ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলার কারণে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে কোন চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আল-হামস বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি হাসপাতালের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তিনি এই ইসরায়েলি দুস্কৃতি ও অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং হাসপাতালগুলোতে জ্বালানী, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনারা গাজা ও মিসরকে বিভক্তকারী ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফিলাডেলফি করিডোর দখল করে নেয়। এর মধ্য দিয়ে গাজা সারা দুনিয়া থেকে কার্যকরভাবে অবরুদ্ধ করেছে হানাদার ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহর আরও পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরের দিকে অগ্রসর হয়েছে। এতে অসামরিক অঞ্চল ঘোষিত করিডোরটি পুরোপুরি ইসরায়েলের কব্জায় চলে গেছে।

গাজায় গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইসরায়েলকে দোষী সাব্যস্ত করে অবিলম্বে রাফাহতে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েল এ নির্দেশকে কোন পাত্তাই দেয়নি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, তান্ডব ও গণহত্যা চলছে। এতে অন্তত ৩৬,৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৩৫০০ আহত হয়েছেন, যাদের ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news