ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অপরাধি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মহাসচিব এ্যান্তনিও গুতেরেস ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ শিশুদের ওপর হামলা ও হাজার হাজার শিশুর মৃত্যুর দায়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অপরাধীদের বিশ্ব তালিকায় যুক্ত করেছেন বলে তার মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক জানিয়েছেন। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে জাতিসংঘের বার্ষিক ‘চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ প্রতিবেদনে ইসরায়েলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান। বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্যই এমনটা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ১৪ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। ১৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, শুক্রবার তিনি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন পান। সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও জাতিসংঘের এমন কাজে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, এই পদক্ষেপের কারণে জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ও জাতিসংঘকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক বাহিনী। তা সত্ত্বেও ইসরায়েলকে মূলত একজন মাত্র ব্যক্তির সিদ্ধান্তেই এই তালিকায় ফেলা হয়েছে। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জাতিসংঘ ইসরায়েলকে নয়, নিজেকেই ইতিহাসের কালো তালিকায় যুক্ত করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণায় জাানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৭৭ জন নিহত ও ২২১ জন আহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ২৪৬তম দিন শনিবার(৮ জুন)। এই বর্বর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬,৭৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৩,৫৩০ জন আহত হয়েছেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news