রোববার তৃতীয় বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির শপথ 

রোববার সন্ধ্যা ৬টায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। 
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পূর্ণমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন বেশ কয়েক জন। 

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে অন্য অতিথিদের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও। 
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সাত জন রাষ্ট্রপ্রধান রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত থাকছেন।
আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচন্ড। 

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েন থাকলেও নয়াদিল্লির তরফে আমন্ত্রণপত্র যায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর কাছেও। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুইজ্জুও। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধান জানান, ভারত তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি ‘সম্মানিত’।

‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগয়াল ওয়াংচুক, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনথ এবং সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফের কাছে। 

 রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে শনিবার ভারতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে কেউ কেউ শনিবার রাতে, বাকিরা রোববার সকালে নয়াদিল্লিতে আসবে। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধানেরা থাকবেন তাজ প্যালেস, দ্য ওবেরয়, দ্য লীলা প্যালেস এবং আইটিসি মৌর্য হোটেলে। তবে নিরাপত্তার কারণে শেষ মুহূর্তে এই আমন্ত্রিতদের ঠিকানা বদলাতেও পারে।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আট হাজার জনের বেশি অতিথি।  শনিবার থেকেই বহুস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। 
২০১৯ সালের শপথে বিমস্টেক গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। 

 আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান। 

দশ বছর আগে ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্ক গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানান মোদী। সে বার শপথে হাজির ছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফও। 

২০১৯ সালে মোদীর সঙ্গে শপথ নেন ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী। এবারে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই মোদীর মন্ত্রিসভায় এবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে টিডিপি এবং জেডিইউ-র মতো দলগুলিকে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news