আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন মার্কিন ধনকুবেররা

ইলন মাস্ক এবং উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী ডেভিড স্যাক্স গত মাসে হলিউডে ধনকুবেরদের একটি গোপন সান্ধ্যভোজের আয়োজন করেন। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল, জো বাইডেনকে পরাজিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবার হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনা। 

ওই সান্ধ্যভোজে অতিথিদের তালিকায় ছিলেন পিটার থিয়েল, রুপার্ট মারডক, মাইকেল মিলকেন, ট্রাভিস কালানিক এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিন। নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাস্ক এ বছর প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সাতবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। 

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইলন মাস্ক একই সময়ে ট্রাম্পের পক্ষে ২০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলা সংবাদমাধ্যম ও প্রসিকিউটরদের পক্ষপাতের ফল বলেও দাবি করেছেন তিনি। এক্সে মাস্কের ১৮ কোটি ৪০ লাখ অনুসারী রয়েছে। 

আর কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রধান ইলন মাস্কের মতো এতটা সরাসরি বিশ্বের কর্তৃত্ববাদী নেতাদের সমর্থন জানাননি। মাস্ক নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ট্রাম্প ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আর্জেন্টিনার জাভিয়ের মিলেই এবং ব্রাজিলের জইর বলসোনারোর পক্ষে কথা বলেছেন তিনি।

এই সমর্থনের পেছনে ইলন মাস্কের ব্যবসায়িক স্বার্থও রয়েছে। ভারতে তিনি তার টেসলা গাড়ির জন্য কম শুল্কারোপ নিশ্চিত করতে পেরেছেন। ব্রাজিলে তিনি তার স্পেসএক্স স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের জন্য একটি বড় বাজার খুঁজে পেয়েছেন। আর্জেন্টিনা থেকে তিনি লিথিয়াম পাওয়া নিশ্চিত করেছেন। 

টেসলার ব্যাটারির জন্য লিথিয়াম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থই নয় বরং এর গভীরে কিছু একটা চলছে। মাস্ক, থিয়েল, মারডক ও তাদের সঙ্গে যুক্ত ধনকুবেররা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

প্রযুক্তি খাতের বড় বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল রিপাবলিকান সিনেটর জে ডি ভ্যান্সের নির্বাচনী প্রচারে দেড় কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। ভ্যান্স এখন ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন।

থিয়েল রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ের দৌড়ে থাকা অ্যারিজোনার ব্লেক মাস্টার্সের তহবিলেও অন্তত এক কোটি ডলার দিয়েছেন। ব্লেক দাবি করেছিলেন যে ট্রাম্পই ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news