ফিলিস্তিনিদের ঈদের আনন্দ নেই

ঈদের আনন্দ নেই ফিলিস্তিনিদের মাঝে। গাজায় চলছে টানা আটমাস ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলা ও গণহত্যা। প্রতিদিন অসংখ্য ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। ঈদের নামাজ পড়ার মতো একটু নিরাপদ জায়গাও নেই উপত্যকাটিতে। আর অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি হামলা ও জুলুমের শিকার হচ্ছেন সেখানকার ফিলিস্তিনিরা। 
ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা অবিরাম ইসরায়েলি হামলা-হত্যাকান্ডে ছাড়াও মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে আছেন। সেখানকার ৮০ হাজার ফিলিস্তিনির ইসরায়েলে কাজ করার পারমিট বাতিল করেছে দখলদার ইসরায়েলি সরকার। ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর আগে এক লাখ ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি গাজায় কাজ করতেন। রোববার (১৬ জুন) আরব জাহানের সব দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল আজহা।

পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা তাই আগের মতো ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারছেন না। ১০ জুন সেখানকার রামাল্লায় ৪ কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। এ নিয়ে পশ্চিম নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪০। অঞ্চলটিতে মাঠের উঠতি ফসল পুড়িয়ে দিয়েছে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারীরা। জর্ডান ভেলির ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়ি গুড়িয়ে দিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। 

পশ্চিম তীরের পশু ব্যবসায়ীর জানান, ‘পশুর চাহিদা নেই, মানুষের হাতে টাকা নেই। তাই আমাদের কোন আনন্দ নেই।’পশ্চিম তীরের বাসিন্দা নাদির আবু আরাব বলেন, ‘গাজা গণহত্যা ও পশ্চিম তীরের মানবাধিকার লংঘন আমাদের জীবনকে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। আমাদের মনে আজ কোন ঈদের আনন্দ নেই।’

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যায় অন্তত ৩৭ হাজার ২৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news