কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, যুক্তরাজ্য ত্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন উইিিকলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এরপর যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেছেন তিনি। 

মূলত মার্কিন আদালতের বিচারের মুখোমুখি হবেন এখন তিনি। তাকে ৬২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। তিনি ইতোমধ্যেই এই সময়টা যুক্তরাজ্যের জেলে কাটিয়েছেন। ফলে তিনি মুক্ত হয়ে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে পারবেন। 

ডয়েচ ভেলের খবরে বলা হয়, সমঝোতার আওতায় অ্যাসাঞ্জ গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে মার্কিন আইন ভঙ্গ করার জন্য দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইবেন। উইকিলিকস জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জ জেল থেকে বেরিয়ে যুক্তরাজ্যের বাইরে চলে গেছেন। স্থানীয় বুধবার তিনি উত্তর মারিয়ানা আইল্যান্ডের আদালতে যাবেন।

সামাজিক মাধ্যমে উইকিলিকস আরও জানিয়েছে, ‘বিশ্বজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনগুলো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। আইনসভার সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অ্যাসাঞ্জের মুক্তির জন্য চেষ্টা করেছিলেন যা জাতিসংঘ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এর ফলে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল। সেই আলোচনা সফলও হয়েছে।’

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি একটিমাত্র আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নেবেন। জাতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গোপনীয় বিষয় ফাঁস করা এবং চক্রান্তের দায় স্বীকার করবেন তিনি।

২০০৬ সালে অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর এই ওয়েবসাইট হাজার হাজার পাতার মার্কিন সামরিক নথি প্রকাশ করে। তার মধ্যে আফগানিস্তান ও ইরাকে হামলা সম্পর্কিত মার্কিন সামরিক নথিও ছিল। এছাড়া কূটনীতিকরা যে সব বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেসবও ফাঁস করে দেন তিনি।

২০১০ সালে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে তিনি জামিন পান।

২০১২ সাল থেকে তিনি সাত বছর লন্ডনে ইকুয়েডোরের দূতাবাসে কাটান। ধর্ষণের অভিযোগে তাকে যাতে গ্রেপ্তার না করা যায়, তার জন্য এই কাজ করেছিলেন তিনি। অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা ছিল, তাকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ২০১৯ সালে তাকে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে তিনি যুক্তরাজ্যের জেলে ছিলেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news