গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা : দৈনিক ১০ শিশু পা হারাচ্ছে-জাতিসংঘ 

ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা আনরোয়ার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি মঙ্গলবার জেনেভায় সাংবাদিকদেরকে একথা জানান। তিনি বলেন, গাজায় আহত দুই হাজার শিশু তাদের এক বা দুই পা হারিয়েছে। তবে হাত হারানোসহ অসংখ্য আহত শিশুকে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, ‘ আমাদের কাছে এধরণের আরও বহু শিশুর তথ্য রয়েছে।’ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২১ হাজারের বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে শিশুদের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যা বলা হয়ে থাকে।

আট বছর বয়েসি মায়াভরা শিশু শায়মা গাজা সিটিতে তাদের বাড়িতে বান্ধবীদের সঙ্গে তাস খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশির বাড়িতে গোলার আঘাত হানে। এতে শায়মা এতোটা মারাত্মক আহত হয় যে, তার ডান হাত ও পা কেটে ফেলতে হয়। 

শায়মা বলে, গাজার শিশুদের ওপর ইসরায়েলি হামলা-বর্বরতার কথা বিশ্বকে জানাতে আমি সাংবাদিক হতে চাই।’ মেয়েটি বলে, ‘যুদ্ধের আগে আমি আমাদের স্কুলের রেডিও স্টেশন পরিচালনা করেছি। আমার বন্ধুরা আমাকে উৎসাহিত করতো।’

লাজ্জারিনি বলেন, প্রতিদিন গাজায় গড়ে দশটি শিশু এক বা দুই পা হারাচ্ছে। এটি ইউনিসেফের পরিসংখ্যান। এতে হাত ও বাহু হারানো শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২৬৪ দিন ধরে গাজাতে হামলা ও গণহত্যা চালাচ্ছে। 
তিনি বলেন, মারাত্মক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তাদের পা কাটার অপারেশন করা হয়। অনেক সময় এনেস্থেশিয়া ছাড়াই তা করা হয়।

সেভ দ্য চিল্ড্রেন সোমবার জানায়, গাজার অন্তত ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আর নিহত হয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু। ইসরায়েলি গণহত্যায় গাজায় অন্তত ৩৭,৭০০ জন নিহত এবং ৮৬,২০০ জন আহত হয়েছেন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news