পশ্চিমারা কী ভাবছে তা নিয়ে রাশিয়ার মাথাব্যথা নেই

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে যেসব ব্রিটিশ নাগরিক ধরা পড়েছে এবং যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেস্কের হাতে। তারা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সব সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো কী ভাবছে তা নিয়ে রাশিয়ার কোনো মাথা ব্যথা নেই।

গতকাল (শুক্রবার) সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকের অবকাশে বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ একথা বলেন।

ইউক্রেনের যুদ্ধ করতে গিয়ে ধরা পড়া তিন বিদেশি নাগরিকের মধ্যে ব্রিটিশ দুই নাগরিক শন পিনার এবং আইডেন আসলিন দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের সুপ্রিম কোর্টে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। মরক্কোর নাগরিক সাদুন ইব্রাহিমসহ ব্রিটেনের ওই দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ধরা পড়া এসব নাগরিকের ব্যাপারে বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গ ল্যাভরভের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেস্কের ব্যাপার, যাকে মস্কো স্বাধীন এবং মিত্র দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এসব নাগরিকের ভাগ্যের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে দায়ী করে থাকে-রোজেনবার্গের এমন মন্তব্যে ল্যাভরভ তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, "পশ্চিমাদের মনোভাব নিয়ে আমি মোটেই আগ্রহী নই, আমি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাপারে আগ্রহী, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভাড়াটে লোকজন যোদ্ধা নয়। ফলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী সেটা আমার কাছে কোনো বিষয় না।"

ল্যাভরভের কথার প্রতিবাদ জানিয়ে রোজেনবার্গ বলেন, এই দুই ব্যক্তি ভাড়াটে নয় বরং তারা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন। জবাবে ল্যাভরভ বলেন, এটি দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের আদালতের বিষয় যা ব্রিটিশ আদালতের মতো বৈধ এবং স্বাধীন।

ধরা পড়া দুই নাগরিকের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে মস্কোর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা -এমন প্রশ্নের জবাবে সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, তিনি এই ধরনের কোনো অনুরোধের কথা শোনেন নি।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রকাশ্যে তারা সবকিছু বলতে অভ্যস্ত। তারা ঘোষণা করতে শুরু করেছে যে, তারা ওই দুই নাগরিকের ভাগ্যের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আমি জানি না তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে কিনা। তবে দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে তাদের কথা বলা উচিত।”

ল্যাভরভ বলেন, “মস্কো এবং লন্ডনের মধ্যে বেদনাদায়ক সম্পর্ক বিরাজ করছে। ব্রিটেন এমন একটি দেশ যার নেতারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক অভিলাষের কারণে জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেন, দেশটির নেতারা শুধুমাত্র পরবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবেন, অন্য কিছু নয়।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news