লেবাননের সংবাদপত্র আল-আখবার এক নিবন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ উপদেষ্টার বৈরুত সফরের কারণ নিয়ে আলোচনা করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ উপদেষ্টার বৈরুত সফরের কথা উল্লেখ করে লেবাননের সংবাদপত্র আল-আখবার লিখেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ উপদেষ্টা আমোস হোচস্টেইন এমন সময় লেবানন সফর করেন যখন তার সফরের একই সময়ৃে ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী বৈরুতে বেসামরিক স্থাপনার উপর তাদের বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছিল। পার্সটুডের মতে লেবাননের এই সংবাদপত্রের নিবন্ধে বলা হয়েছে, বৈরুতে আসার আগে দখলদার ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে হোচস্টেইন ব্যাপক আলাপ আলোচনা করেছেন এবং তারা তাকে জানিয়ছেন যে  তেল আবিবের শর্ত পূরণ করে না এমন কোনো চুক্তিতে তারা  প্রবেশ করবে না এবং  সম্পূর্ণ চুক্তির আগে কোনো ধরনের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হবে না।

আল-আখবার পত্রিকা আরো বলেছে যে হচস্টেইন" তার দলের সঙ্গে কূটনৈতিক ভাষায় একটি খসড়া প্রস্তুত করার জন্য কাজ করেছিল কিন্তু ইসরাইলি সরকারের দাবি এবং এগুলোকে লেবাননের পক্ষ থেকে অনুমোদন উভয়ই পূরণ করবে এমন কোনো পথ তারা খুঁজে পায়নি। বৈরুতে তার সফরের আগে তিনি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিশেষ করে লেবাননে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিসা জনসনের নেতৃত্বে কয়েকটি লেবাননের পক্ষকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে লেবানন অনেক কথা বলার মতো অবস্থায় নেই এবং যদি লেবানন প্রস্তাবটি গ্রহণ না করেন তাহলে এর অর্থ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে এবং তেল আবিবের আক্রমণ আরও সহিংস হয়ে উঠবে।

আরব কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এই সংবাদপত্রটি বলেছে, "হচস্টেইন" বিভিন্ন নীতির উপর ভিত্তি করে রেজোলিউশন ১৭০১-এ একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও উপস্থাপন করেছেন যেখানে বলা হয়েছে যে লেবানন এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনের সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেখানে কোনও সশস্ত্র উপস্থিতি থাকতে পারবে না।

আল-আখবারের তথ্য অনুসারে আমেরিকান দূত এই সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং একতরফা প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন যেন এই প্রস্তাব লেবানিজদের এবং অন্তবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এবং লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরিকে আকৃষ্ট করবে। কিন্তু প্রাপ্ত রিপোর্টগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তিনি লেবাননের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পান নি।
পার্সটুডে

news