ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার বিজরোল গ্রামে ঘটে যাওয়া এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় একটি ১৫ বছরের কিশোরীকে মা শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সেহরির সময়, যখন কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। তার এই আচরণে রেগে গিয়ে মায়ের হাতে প্রাণ হারান নাজিয়া।
শনিবার ভোরে, প্রায় রাত ৩টার দিকে সেহরির প্রস্তুতির সময় নাজিয়া ফোনে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছিল। এ দৃশ্য দেখে মা ওয়ারিসা এতটাই রেগে যান যে, তিনি তার মেয়ের গলা চেপে ধরেন। এতে কিশোরী বিছানায় লুটিয়ে পড়ে। তবে মা মনে করেছিলেন, মেয়ে বেঁচে আছে এবং ঘরের কাজ চালিয়ে যান। কিন্তু চার ঘণ্টা পর মেয়েকে জাগানোর চেষ্টা করেও সফল হননি, তখন বুঝতে পারেন যে, নাজিয়া মারা গেছে।
ওয়ারিসার স্বামী, একজন খেলনা ব্যবসায়ী, তখন সুলতানপুরে ব্যবসায়িক কাজে ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে যখন পরিবারটি আর্থিক কষ্টে ছিল এবং নাজিয়া স্কুল ছেড়ে বাড়িতে থাকত। গ্রামবাসীরা সকালে নাজিয়ার মরদেহ কবর দেয়ার দৃশ্য দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধের মাধ্যমেই মেয়েটির মৃত্যু নিশ্চিত হয়। ঘটনার পর পুলিশের কাছে ওয়ারিসা স্বীকার করেন, তিনি রাগের বশে কিশোরীকে হত্যা করেছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি পারিবারিক সম্পর্ক এবং ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজে এক নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
এফআইআর দায়ের করে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।


