ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে নিহতের সংখ্যা ৩৪২ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশুদের সংখ্যাও। এই হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই, এবং আহতদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজার উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, যেখানে ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজার বেসামরিক নাগরিকরা, বিশেষত নারী ও শিশুরা, এই হামলার সবচেয়ে বড় শিকার।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর গাজার ওপর এই বিমান হামলা শুরু হয়, যার কারণে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। হামাস ও প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল কৌশলগতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা একে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ এবং ‘ইচ্ছাকৃত যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীও এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা গাজায় স্থল আক্রমণের হুমকি দিয়েছেন, যা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে।
হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে হবে এবং গাজার ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় অবরোধ ভাঙতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠক আহ্বান জানিয়ে, তারা ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য চাপ দিতে বলেছে।


