ভারতের অবৈধ ও নৃশংস বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তান তিনটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। ভারতের এই হামলায় নিরীহ পাকিস্তানি নাগরিক, নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই হামলাকে 'কাপুরুষোচিত' আক্রমণ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
"ভারতের রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় আহমেদপুর শরীফ, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও বাঘ এলাকায় মসজিদ ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর জানিয়েছেন, এই হামলায় ৮ জন নিরীহ পাকিস্তানি নাগরিক নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।"
"মেজর জেনারেল গাফুর এই হামলাকে 'অপ্রত্যাশিত ও কাপুরুষোচিত' বলে আখ্যায়িত করে বলেন, পাকিস্তান এর জবাব দেবে এবং দিচ্ছে। তার এই বক্তব্যের পরই পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতীয় এয়ারফোর্সের তিনটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। প্রথম দুটি বিমান ভূপাতিত হয় ভাটিন্ডা ও আখনুরে, আর তৃতীয়টি আওয়ান্তিপোরা থেকে ১৭ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূপাতিত হয়।"
"ভারতের এই আগ্রাসনের জবাব আমরা দিয়েছি এবং আগামীতেও দেব। তারা মসজিদ ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যা কোনো সভ্য দেশের কাজ নয়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী, এবং আমরা আমাদের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত।"
"পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, 'ভারতের এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য হুমকি।' এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভারতের এই হামলাকে 'লজ্জাজনক' বলে উল্লেখ করেছেন।"
"আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও ভারতের এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। সিএনএন ও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কোনো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং ভারতের দাবিগুলো মিথ্যা। পাকিস্তান এখনও শান্তির পক্ষে, কিন্তু এই শান্তির ইচ্ছাকে দুর্বলতা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।"
"এই সংকট নিয়ে আমরা কথা বলবো আমাদের বিশ্লেষক প্যানেলের সাথে। ড. আহমেদ রিয়াজ, প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক, এবং প্রফেসর নাসরিন আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ, আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন।"
ড. আহমেদ রিয়াজ বলেছেন, "ভারতের এই হামলা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। তারা কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে এবং বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ন্যায্য।"
প্রফেসর নাসরিন আক্তার বলেছেন, "এই সংঘাত শুধু পাকিস্তান-ভারতের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য হুমকি। জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের এখনই হস্তক্ষেপ করা উচিত। ভারতের এই আগ্রাসন যেকোনো মূল্যে থামাতে হবে।"
"সংক্ষেপে বলতে গেলে, ভারতের অবৈধ হামলার জবাবে পাকিস্তান শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনগণ একত্রে এই আগ্রাসন মোকাবিলা করছে।


